গাঁদা ফুলগাছকে ঝাঁকড়া ও ফুলে ভরপুর করার জন্য কিছু বিশেষ কৌশল বা টিপস বর্ণনা করা হয়েছে।
সঠিক মাটি প্রস্তুত (আন্দাজ মতো)
১) বাগানের মাটি ৬০%।
২) ১৪% কম্পোস্ট (গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট)।
৩) বাকি অংশে হালকা বালি ব্যবহার করতে হবে ।
মাটিতে বালি ব্যবহারের কারণ মাটি ঝুরঝুরে এবং জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হবে। অতিরিক্ত জল জমে গেলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে।
সিজিনাল ফুল গাছে খুব ভালো গ্রোথ এবং ভালো ফুলের জন্য আমরা Chemical Fertilizers বা
Organic Fertilizers ব্যবহার করতে পারি ।
গাঁদা গাছের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং প্রচুর ফুল ফোটাতে সঠিক পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার প্রয়োগের মাধ্যমে গাছকে প্রয়োজনীয় উপাদান দেওয়া হয় যা ফুল ফোটানোর হারকে বৃদ্ধি করে এবং গাছের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
Chemical Fertilizers(রাসায়নিক সার)
গাঁদা গাছের জন্য এমন সার বেছে নিতে হবে যা ফুল ফোটানোর পাশাপাশি গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এখানে প্রধানত তিন ধরনের পুষ্টি প্রয়োজন:
নাইট্রোজেন (N):
এটি গাছের পাতা ও ডালপালার দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ছোটো গাছের জন্য নাইট্রোজেন খুব উপকারী।
উদাহরণ: ইউরিয়া বা আমোনিয়াম সালফেট।
ফসফরাস (P):
ফসফরাস শিকড় শক্তিশালী করে এবং ফুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
উদাহরণ: সুপার ফসফেট।
পটাশিয়াম (K):
এটি ফুলকে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং গাছকে রোগমুক্ত রাখে।
উদাহরণ: মিউরেট অব পটাশ।
এপসম সল্ট: ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দিয়ে তৈরি। এটি সবুজ পাতা ধরে রাখে এবং গাছকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে।
NPK সম্মন্ধে আরো জানতে click here ->
Organic Fertilizers(প্রাকৃতিক সার)
রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করা খুবই ভালো কারণ তাতে মাটি এবং গাছ দুটোই ভালো থাকে।
কম্পোস্ট সার:
১)পরিমান মতো পচানো গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট প্রতি ১৫-২০ দিনে একবার মাটির সাথে মিশিয়ে দিন।
২)কলার খোসা ও ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় দিন। এতে প্রচুর পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে যা গাছের শক্তি বাড়ায়।
৩)রান্নার সবজি বা চা পাতা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই জল ছেঁকে গাছের গোড়ায় ব্যবহার করলে এটি প্রাকৃতিক পুষ্টি সরবরাহ করে।
শুধুমাত্র গাছের গ্রোথ এর সম্মন্ধে জানার জন্য click here ->
বিশেষ কিছু টিপস
১) শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করলে ব্রাঞ্চ বৃদ্ধি পায়। এটি গাছকে অধিক ফুল উৎপাদনে সাহায্য করে।
২) পুরনো এবং শুকনো ফুল ছেঁটে দিলে নতুন কুঁড়ি আসার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩) প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৬ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখতে হবে।
৪) প্রতি মাসে একবার টবের মাটি কম করে খুঁড়ে দিন তাতে মাটি নরম থাকবে ও শিকড় সহজেই মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে ।
৫)পরিচর্যায় ধৈর্য এবং নিয়মিততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন